সম্পাদকীয়



সম্পাদক : আত্মহত্যা ক'রুন। ঐ তো মৃত্যুর আনন্দ গাছ। ঐ গাছটাতে-ই গলায় রশি দিয়ে ঝুলে প'ড়ুন। ঐ তো মরণমধুর বিষের কৌটো। ঐ নীলমদ-ই পান ক'রুন মহুয়াফুলের গাঢ় মদের মতন। পথের অ্যাক্সিডেন্টটা আপনার আমার জীবনে-ই ঘ'টুক। অ্যাক্সিডেন্টেরেও তো একটা প্রাণ আছে। তারও তো বাঁচা দরকার। ইড়া পিঙ্গলা সুষুম্নার স্বাধিষ্ঠানে জীবনের মণিপুর। মুলাধার। মরুতত্ত্ব। তাকে ফাটিয়ে দিন। বেশবিন্যাসে মরণের চতুর্ভুজ। লোহিতবর্ণ আগুন। আপনার আমার জীবনের ফাগুন অনন্তর পীতাম্বরে ছেড়ে পালাক। থাক এই বিচলিত বিগলিত বিশুদ্ধপদ্মের পদ্মানদী। যদি এ সব মানতে না পারেন। তাহলেও আত্মহত্যা ক'রুন। যোগের নিরন্তর সমর্থকে বদনকমলে আগুন দিতে হবে নিজে-ই নিজের মুখে। কি হবে নরম মাংশের দুধ ভ'রে রেখে বুকে। সুখে অসুখে জ্ঞানশোভাত্মিকা ত্রিলোক। আত্মহত্যা আমাদের সবার হোক হে পূর্ব্বক ব্যক্তিত্বের সমাধিস্থচোখ।।  

                                      বিশ্বরূপ বিশ্বাস।।