ঋভু চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
অপরিবর্তিত
১
তারপরেই জায়গা পরিবর্তন হয়
খসে পড়ে অতীত, এক একটা করে খোসা,
একদিন হৃৎপিণ্ডের, সামনে দাঁড়ানো একটা ছায়া
আঙুল তুলে পচা একটা ভ্যাট দেখিয়েছিল,
ছাদের একটা কোণে লুকিয়ে থাকলেও ভুলে
যাওয়া গাণিতিক যোগ অথবা অগাণিতিক
বিয়োগ মাথায় আসেনি, যেমন কখনও উত্তর
পাওয়া যায়নি কিভাবে একটা লিমিট হঠাৎ
এ ছাড়িয়ে শূন্যের রাস্তা ধরে, অথবা
শূন্যের পিঠে জেড হয়।
২
বোঝা গেছে সব টিকটিকি যুধিষ্ঠির নয়,
মাথার ওপর প্রতিদিন রুটির আলোচনা,
রক্তে চায়ের দাগ, কোষে এখন স্ত্রী শক্তি কম,
নুয়ে পড়া আলোর মত এই তো সেদিন
একটা ধায়ের অমৃত যোগ হল, একটা
অসমান্তরালের জল বিয়োগ, রাস্তায় খেটে খাওয়া
দুটো শরীর জলের দরে চামড়া বিক্রি করেও
রাতে মুরগির ঘ্রাণ গোনে। অথচ উল্টো দিকের
অস্থির ক্যানভাস, এক একটা হাড় থেকে ভেঙে যাচ্ছে হাড়,
চামড়া ছেড়ে চামড়ার শরীরে, তবুও তো রাস্তাঘাটে যত বার দেখা,
যতবার সাক্ষাৎ ততবার চায়ের বদলে জ্যোৎন্সা তুলে দি,
ততবার ছুঁয়ে বলা হয়, এই তো শুভ দিন,
এই তো ভোরের যাপন, এই তো জানলা খোলা,
সব ঘোড়ার গায়ে রোদ্দুর লেগে আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন