অহনা সরকার




অহনা সরকারের কবিতা


আদরণ


একটা প্রান্ত, আর একটা শুকনো ডাল। কবে থেকে ই তারা! যে যে ভাবে দেখেছে। প্রান্তের গায়ে ডালের শুকনো চারা বা অধরখানি ঝুঁকিয়ে একটা মাছবোল পাখি, আদান্ত্য ছোঁ মেরে ওই ডালে ই, ওই শুকিয়ে আসা তিল, কবেকারে র একফালি হাসি। প্রান্তে র ডালে শুকনো কাঠে র একরাখা। এক রৈখিক। 
সেভাবে দেখলে আশেপাশে আর কিছু, বড়জোর কোন দূ      তা সে তুমি যত নিকট ভাবো বা মধ্যাহ্ন। গাছে র তরল পাতা রোদের জলে হাঁইসাঁই করতে করতে লাল পাহাড়ীয়া বিছে কিছু। ডানায় শঙ্খ লাগানো। আদতে শোনো, অভ্যাসে। পায়ে র নিচে আরো আ র   ও   ওই যে শতাইক   কোকিল ডাকছে। একটা কালো দুপুর পায়ে র নাগরায় রোম সূতো য় বোনা। বড্ড ছেয়ে আছে অন্ধকার, এত ঘন তাই এত ডীপ! নিশ্চদ্র মাঘমাসে,  মাসে র মা মকরের যাত্রায়। পর্দা উঁচিয়ে চোখ দেখে বাইরে বড্ড রোদ। ছায়া পড়েছে লম্বা লম্বা ......... 
তাদের হেঁটে যাওয়া। থেমে


শা জাঁহা


অকালে সা নামে। শাহজাহানে র দেশে বৃষ্টি নেমেছে। অটো র বাইরে থেকে মানচিত্রে আঁকা এ শহর, ঝাপসা কেমন! কেমন কাঁচে কাঁচে জল একলা যেন পদাবলী। কেউ দুপুর ভুল করে মাঝপথে 
আর কতদূর ভাইয়া? 
শব্দে ঢাকা পড়ে গেল বিভুঁই। ছাতা আছে একটা, তালপাতার। তালে র পাতা ময়ূরজলে গুলে ছাপা ছাপা, পুঁইয়ের প্রথম ভোর যেন। তাকে আলতো হাতে তুলে নিলে, আগলে ............. 
সবাই বলে এ শহর প্রেমের। এই যে ধূলোপড়া আদিম চশমাওয়ালী। না খাওয়া চোখে কোলে র মানব জনম। আমাদের ট্যাক্সির সামনে এসে হাত পেতেছে। শির ওঠা দাঁত, কনুইয়ে র মাঝখান থেকে  
এ  এএ ভাগ্ ভাগ্ ....... 
যমুনা ছলকে পড়া চকিত। বৃষ্টি কমে গেছে। আবাসী মোম কয়েক প্রস্থ ধারে যেন খুব হালকা মাথার কাছে খুলে রাখা দ্বাদশ, আজ পূর্ণিমা। দ্বেষ কে নাকি ভালবাসা নাকি এই নীল রাত্র .......... 
চশমাটা হালকা মুছে নিলাম। এ পথেই কখনও মাটি র কাঁচা ভ্রম, পায়ে র চৌয়ূথ। বিরাট  ছাতার ফাঁকে রৌদ্রমুখী মানুষ। কার খিদে কার বা আনাচ আবার কারো ঘুরে ঘুরে  ......... দূ  রে   ও        ই    চোখ যায়না পাঁচ মহনা কঙ্কে তার কোন য়সী  ........ 
অ্যাব উতরন্যা হ্যায় 
চমকে

এক লালে র পাশ্চাত্য। তার সওদাগরী রূপ 

"জানো এখানে এত বন্যা হত এই ছাওয়াগুলো তো ওইজন্য ই  ...... জল বেয়ে বেয়ে সোজ্জা  যমুনা। তারপর ভাবো তো শাহাজাহান তখন     " ........ 
রেশ ফুরিয়ে আসছে। আধো উচ্চারিত। আলো ডুবছে। যমুনার পাড়। এক মাঝি অনন্ত দৈর থে  ..... তার এ বেশ। এ ই যে চরা 


ঘুমড়


এখন সব আঁধার সবটা। খালি এক মোমে র থলি। সলতে র টিমটিমে। বার বার হাতে র আড়াল শরীর ঠেকিয়ে তার আলতো কাঁপনে কে দেখছি। ছায়া টা ও বিন্দু সম হতে হতে    

সমস্ত এক আঁধার। তার মধ্যে দিয়ে ঘরের আলো। খালি পা গায়ে কেউ হেঁটে যাচ্ছে। নির্বাক। 
খোলাহীন গাছে র চিলতে। ও   ই দক্ষিণে ছায়া য়

উন্মত্ত শব্দটা ভাবলে তোমাকে পাই। তুমি আ হানে উদাসে। আঁধার নেমেছে এখন। তার ছায়া। ঘর ভর্তি
              

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন